l

মাগুরার সেই শিশুটির মা বললেন, ‘ইশ্‌! ক্যান যে পাঠাইছিলাম’

 


সর্বশেষ

মাগুরার সেই শিশুটির মা বললেন, ‘ইশ্‌! ক্যান যে পাঠাইছিলাম’

নাজনীন আখতারঢাকা

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১৬: ৫০

ফলো করুন

শিশু ধর্ষণ

শিশু ধর্ষণপ্রতীকী ছবি : প্রথম আলো

মাগুরার সেই শিশুটির মা বলছিলেন, আগের দিন (মঙ্গলবার) তাঁর মেয়ে ফোনে কান্নাকাটি করে বোনের বাসা থেকে নিজের বাসায় চলে আসতে চেয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, আর দুইটা দিন থাকতে। তারপর নিয়ে আসবেন। এখন তাঁর একটাই আপসোস। বললেন, ‘ইশ্‌! ক্যান যে পাঠাইছিলাম!’


ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (পিআইসিইউ) সামনে দাঁড়িয়ে হাহাকার নিয়ে এই প্রতিবেদককে কথাগুলো বলছিলেন মাগুরার সেই শিশুর মা। আজ রোববার কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে।


বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।


বাংলাদেশ

মাগুরার সেই শিশুটির মা বললেন, ‘ইশ্‌! ক্যান যে পাঠাইছিলাম’

নাজনীন আখতারঢাকা

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১৬: ৫০

ফলো করুন

শিশু ধর্ষণ

শিশু ধর্ষণপ্রতীকী ছবি : প্রথম আলো

মাগুরার সেই শিশুটির মা বলছিলেন, আগের দিন (মঙ্গলবার) তাঁর মেয়ে ফোনে কান্নাকাটি করে বোনের বাসা থেকে নিজের বাসায় চলে আসতে চেয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, আর দুইটা দিন থাকতে। তারপর নিয়ে আসবেন। এখন তাঁর একটাই আপসোস। বললেন, ‘ইশ্‌! ক্যান যে পাঠাইছিলাম!’


ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (পিআইসিইউ) সামনে দাঁড়িয়ে হাহাকার নিয়ে এই প্রতিবেদককে কথাগুলো বলছিলেন মাগুরার সেই শিশুর মা। আজ রোববার কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে।


বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।




আরও পড়ুন

বোনের স্বামীর সহায়তায় শিশুটিকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর, মামলার এজাহারে অভিযোগ

২২ ঘণ্টা আগে

বোনের স্বামীর সহায়তায় শিশুটিকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর, মামলার এজাহারে অভিযোগ

অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।


দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিএমএইচের পিআইসিইউর সামনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন স্বজন এসেছেন শিশুটিকে দেখতে। সঙ্গে শিশুটির মা–ও ছিলেন। সিএমএইচের একজন কর্মকর্তা স্বজনদের বুঝিয়ে বলছিলেন, ‘ওর ইনফেকশন অনেক বেশি। আপনারা দেখতে গেলে ওর ক্ষতিই হবে। আপনারা দোয়া করেন, আল্লাহ সুস্থ করে দিলে দেখতে পারবেন।’


স্বজনেরা চলে যাওয়ার পর শিশুটির মায়ের মুঠোফোনে একের পর এক ফোন আসছিল। মা উদ্বিগ্ন কণ্ঠে কথা বলছিলেন। হাঁটাহাঁটি করছিলেন।


প্রথম আলোকে শিশুটির মা বলেন, ‘মেয়ের কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না। আপনাকে ছবি তুইলা দেখাতে পারলে বুঝতে পারতেন কী কষ্ট ছোটটি ছেলে, বয়স আড়াই বছর। তিনি বলেন, ‘মেয়ে বোনের বাসায় যেতে চাইছিল না। জোর করে পাঠাইছিলাম। যদি না পাঠাইতাম তাহলে এই অবস্থা হতো না।’


বড় মেয়ে তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আগেও করেছিলেন বলে জানান এই মা। তিনি বলেন, ঘটনার আগের দিন মেয়ে ওর বড় বোনের কাছে বলেছিল, বোনের শ্বশুর তাকে খারাপভাবে স্পর্শ করেছে। এটা নিয়ে মেয়ে তাঁর স্বামীকে বলে উল্টো মারধরের শিকার হন।


মা বলেন, শ্বশুর-জামাতা দুজনের চরিত্রই খারাপ। এটা আগে জানলে তিনি বিয়ে দিতেন না। হাসপাতালে এখন মেয়ের সঙ্গে তিনিই থাকছেন। মেয়ের সুস্থতার জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চান। ধর্ষকদের যেন সর্বোচ্চ সাজা হয়, সেটা নিশ্চিত করার দাবি জানান।


চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটি এখনো অচেতন। তার অবস্থা অস্থিতিশীল ও সংকটাপন্ন। শিশুটিকে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা চলছে।পাচ্ছে! আল্লাহর কাছে মেয়ের দাবি ছাইড়া দিছি।’

Previous Post Next Post